সামাজিক Time Pass

বইয়ের পাতা আর মলাটে পার্থক্য ছিল চিরকাল,
গুরুত্ব পাওয়া, সম্মান পাওয়ার ক্ষিদে ছিল সমান্তরাল,
যতই বলা হোক, ব্যক্তিগত আর পেশাগত জীবনে পার্থক্য থেকে থাকে,
দিনের শেষে দুটো জীবনে বাস, একটি সত্তাই যে করে থাকে,

ঠিক বেঠিকের হিসেব একটা অবলাও ঠিক করে রাখে,
না করণীয় বাস্তবায়িত হলে, ক্ষমা আর ভুল স্বীকারের রাস্তা ধরে,
না ক্ষমতা থাকলে পলায়ন করে, কিন্তু মানুষ, জোর দেখিয়ে কিছু ধরে রাখে,
ক্ষনিকের শান্তি কিছুটা আরাম দেয় ঠিকই, কিন্তু অন্তরসত্ত্বা কালো বিন্দুর হিসেব ঠিক রাখে,

যতই বলা হোক দর্শনে, ঠিক ভুল সবই আপেক্ষিক, ব্যক্তিবিশেষে পাল্টে যায়,
মরণত্তর মূল্যায়ন আর বিশ্লেষণ কি সেই জীবনকে কোনো দিক থেকে পাল্টায়?
আগামী দিনে ঠিক বেরিয়ে আসুক বা না আসুক, বর্তমানের গুনগত মানে প্রশ্ন ওঠে,
বলপূর্বক আপোষকে কিছু মানুষ আধুনিকতার নামে চেনে,

বাস্তব, সমাজ, সময়, জীবন, এদের মধ্যে একটা বিন্দুতে বেশ মিল দেখা যায়,
আপেক্ষিক ভুলগুলোর জন্য ক্ষমা নয়, থাপ্পড়টা বেশ জোরালো ভাবে প্রস্তুত করা হয়,
যে দেখতে পেলো, পারলো উপলব্ধি করতে, সে একরকম মূল্যায়ন করে গেল,
আর যে দেখতে পেলো না অদৃশ্য মার কে, সে সাময়িক অনেককিছু বলে গেল,

সম্মান পেতে, গুরুত্ব পেতে ভালো লাগে খুব তাই, যে পায় তার বিচার চলে খুব,
নিজে যেই হই, সময় অনুপাতে বিশ্লেষণ করা থেকে বিমুখ কি করে হই,
বইয়ের পাতা আর মলাটে চিরকালই পার্থক্য ছিল, আর থাকবে,
কিছু বিশ্লেষনকারীরা বিভিন্ন পর্যায়ে খালি বিশ্লেষণ টুকুই করে যাবে,

এখানে ইচ্ছে, আবেগ, স্নেহ সবই অন্যের দ্বারা সংজ্ঞায়িত, নিজের চিন্তাধারা নিজ অব্দিই সীমাবদ্ধ,
কোনোদিনই কারো আগ্রহ হয়নি, হলেও জানা অব্দিই সীমাবদ্ধ থেকে গেছে,
দিনের শেষে, সবাই সবাইকে সবার মতো করে বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন আর তকমা টুকু দিয়ে গেছে,
তাই হয়তো বেপরোয়ারা আজকাল সংখ্যাগোরিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ?

স্বাভাবিক শব্দটা আপেক্ষিকতার আড়ালে বার বার অন্যের দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয়েছে ,
তাদের সংজ্ঞার বোঝা কেউ বহন করেছে, কেউ পাল্টানোর জন্য লড়াই করেছে আবার কেউ গুরুত্ব না দেওয়ার ভান করে চলে চলেছে,
কিন্তু প্রভাবে প্রভাবিত সবাই, চিন্তা জগতে আলোড়ন সবার, অভিনয় অভিনীত যেন সর্বত্র এ বৃহৎ রঙ্গমঞ্চে,
দিনের শেষে সবাই সবার মতো, মূল্য কে দেয় আর তাতে কি বা যায় আসে…..

জীবন জীবনের মতো চলতে থাকবে ঠিক, ভালো থাকার, সম্মান আর গুরুত্ব পাওয়ার চেষ্টা সবাই সবার মতো করে চলবে ঠিক,
ধৈর্য্যর মাত্রার ওপর নির্ভর করবে, কিরকম কর্ম আর পদক্ষেপ নেওয়া হবে,
কারো এখুনি চাই আবার কারো একটু পরে হলেও চলবে,
ঠিক ভুল, দোষ গুন ওগুলো সবাই সবার মতো বিচার করে চলবে, আর বড়ো শিক্ষক সময় তার মতো করে…………… 

Leave a Reply