নবপ্রজন্মের ইতিকথা

আজ প্রথম নবপ্রজন্মের বৃহৎ এক দল, ডানা মেলেছে স্বপ্নের,
স্বপ্ন দেখেই ক্ষান্ত নয় তারা, তাড়া রয়েছে স্বপ্ন পূরণের,
কোনোপ্রকারের ভেদ, যাদের অস্তিত্ব সমাজে রয়েছে, রুখতে পারছে না তাদের,
পরজন্ম নয়, ইহজন্ম সাজাতে গোছাতে উন্মত্ততা এদের,

সমাজে রয়েছে অনেক মানুষ, যারা এদের দেখছে,
মন্তব্য, তাচ্ছিল্য, হাসাহাসি কত কি না তারা করছে,
প্রথম প্রজন্ম এরা যারা ঋণাত্মক মন্তব্যকে তোয়াক্কা করছে না,
কিছু মানুষরূপীদের আবার বিষয়টা হজম হয়েও হচ্ছে না,

যকৃতের সমস্যা নাকি মস্তিষ্কের, কঠিন খুবই মুশকিল তা বলা,
মাঝামাঝিদের, সমাজে হয়েছে বিপুল আজ সমস্যা,
অপ্রচলিত পেশা নামক নাকি পেশার বিশেষ শ্রেণী রয়েছে,
ওসবের সাথে নাকি তাদের সমীকরণ মানানসই করতে হচ্ছে,

শুধু পেশাচয়ন নিয়েই থেমে নেই তারা, লিঙ্গ কেন্দ্রিক তুলছে প্রশ্ন,
কে কোন পেশার উপযুক্ত, বাতলে দিচ্ছে একদল সীমিত,
কর্মহীনতা ওদের সবার এক সাধারণ বৈশিষ্ট,
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীতে, বয়স ও লিঙ্গভেদে তারা সমান ভাবে বিভক্ত,

ব্যর্থতা ও অসফলতাকে আজকের প্রজন্ম সফলতার গল্প বলার জন্য তুলে রাখছে,
সমাজের বিশেষ শ্রেণীর মানুষেরা তাদের মতো করে সেই গল্পে স্থান পাচ্ছে,
এগিয়ে এসেছে অনেকটা পথ ওরা, প্রতি পদে তারা লড়ছে,
চিরাচরিত স্বাভাবিকের মাঝে নতুন স্বাভাবিকের ভিত স্থাপন করে চলেছে,

পথ চলতে চলতে নানান ধারণার সাথে সংঘর্ষ, বিবাদ ও দ্বন্দ্বের সাথে দেখা হচ্ছে,
মানসিক ভাবে না ভাঙতে পেরে সমাজের এক দলের প্রতি নির্যাতন শরীর কেন্দ্রিক হচ্ছে,
হেনস্থা, তাচ্ছিল্য, শারীরিক নির্যাতনের কাছে হার না মেনে আধুনিক প্রজন্ম লড়াই করছে,
চিন্তাজগতে আলোড়ন ও পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে নতুন সমাজের রূপরেখা রচিত হচ্ছে,

অনেক কিছুই নাকি দেখে অভ্যস্ত নয় মানুষ, তাই নাকি ওদের বেঁধে রাখা,
বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার গ্রহণে নেই আবার তাদের মানা,
জীবনকেন্দ্রিক সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে বয়স ও অভিজ্ঞতার বর্তমান খোঁজে মেলবন্ধন,
কিছু ভেড়ারা অসহায় হয়ে রাস্তায় কারণ জনসংখ্যার সাথে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে এখন,

জীবন মাপার মানদণ্ড পাল্টেছে, যান্ত্রিক সমাজে গতি ও প্রগতি সব্যসাচী,
শক্তিশালী তর্জমা পাল্টে হয়েছে প্রভাবশালী,
সংজ্ঞাতে যোগ হয়েছে বুদ্ধি, পরিচিতি ও প্রতিপত্তি,
মাঝে সম্ভাবনার সাথে নয়র্থক দেখা ও প্রচারে ব্যস্ত, কিছু অভিজ্ঞতায় বলশালী,

অশুভকামী নয় তারা, অজান্তেই প্রতিভার তারা বিরুদ্ধে,
অভিজ্ঞতা ও গ্লানি তাদের হাতিয়ার, ইচ্ছেশক্তির ইন্ধন ইনাদেরই মাধ্যমে,
চেনামুখে ঋণাত্মকতা মেনে নেওয়া হয়ে পড়ে বেশ কঠিন,
নবপ্রজন্ম পরিস্থিতিবিশেষে দূরত্ব বাড়ায়, নিজে হয়ে পড়ে হীন,

এই দূরত্বেই কেউ জীবন গড়ে, আবার কেউ হারিয়ে যায়,
মন্তব্য, সমালোচনা ও পরিহাসের ভীতি, জীবন জয় করা শেখায়,
আবার কখনো এরাই, প্রাণ কেড়ে নিয়ে যায়,
তবু, সমালোচকের উপস্থিতি ছাড়া কেমনে অগ্রগতি হয় ?

অজান্তেই মানসিক জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে নুতুনের কাছে সেকেলে,
কিছুকে সম্পূর্ণরূপে পরিচালিত আবার কিছুকে প্রভাবিত করে চলে,
সামাজিক সন্ধিক্ষণে দুই প্রজন্মই নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে রাখতে চায়,
ভুল কেউ নয় তবু আগামীকে আদৌ কি কেউ দেখতে পায় ?

সম্ভাবনার খেলাতে ঘটনাসংখ্যা প্রচুর,
সমস্ত ঘটনা অনেকেরই, দৃষ্টিকোণ ছুট,
নতুনের অভিজ্ঞতা কম বলেই তারা সর্বদা ক্ষীণ ও ভুল,
সীমারেখার মাঝে ধরে বেঁধে রাখার উদ্দেশ্যে, তত্ত্ব সম্পূর্ণ নির্ভুল,

প্রাধান্য তাদেরই বেশি সমাজে যারা ফিসফিসিয়ে কথা বলে,
সবার কথা শুনতে গিয়ে অনেকে অভীষ্ট পাল্টে ফেলে,
প্রভাবিত না হওয়ার কলা প্রাথমিক, জেনে রাখা বেশ ভালো,
নইলে অন্যের মতো করে জীবন বাঁচা নিয়মিত অভ্যেস করো,

বেকারত্ব এতখানি যে মানুষ বিনামূল্যে মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে,
বিনম্রতা, বিশ্লেষণ দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করে,
কখনো মানতে আবার কখনো মানিয়ে নেওয়ার দ্বন্দ্বের রচনা করে,
ছোট থেকে বড়োদের উল্টো পথের দিকে মাঝে মধ্যেই আহ্বান জানিয়ে থাকে,

অভিজ্ঞতার ঘাটতি সময়নুপাতে কর্ম সঞ্চালনের দ্বারা পূরণ হয় ঠিক,
জানা সত্ত্বেও অধিকাংশের স্বপ্নহত্যা কাছের মানুষের হাতেই হয় ঠিক,
অন্যের পছন্দে বাঁচা ও অন্যের পছন্দে খাওয়া, যে করেছে সেই জেনেছে,
নিরাপত্তাহীনতার চেয়েও নিজের কাছে হেরে যাওয়া আর স্বপ্নহত্যা সবচেয়ে বেশি কষ্টের, এই উপলব্ধি।

1 thought on “নবপ্রজন্মের ইতিকথা”

Leave a Reply