উপাদান

স্মৃতিপট নীরব আজ,
ব্যস্ত বোধয় করতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ,
সঙ্গ ছেড়ে গেলে কপালে পড়ে ভাঁজ,
ভাবায় ঘটনাগুলো, আদৌ আশীর্বাদ না অভিশাপ,

স্মৃতি মনকে অসুস্থ রাখে,
নানান চিন্তায় অক্ষুন্ন রাখে,
কখনো কর্মবিমুখ করে, আবার কখনো রাখে আচ্ছন্ন,
মনে করায়,মানুষের গুণাবলী বজায় রাখা বড়ো কষ্ট,

ভোগান্তি সচরাচর চোখে পড়ে, চারপাশে,
ইনার উপস্থিতি কখনো বেরঙিন আবার কখনো দিন উজ্জ্বল করে,
সঠিক উপায় নেই জানা, তাই বোধয় শাস্তি,
অন্যান্যদের থেকে মানুষকে পৃথক করে, স্মৃতি থেকে আসা নানা চিন্তার ভঙ্গি,

সর্বশ্রেষ্ঠের শিরোপা হওয়াতে রয়েছে আরেকজনের অবদান,
স্মৃতির সাথে বন্ধু সেজে এসে নাম ধরে কল্পনার,
ইনাকে নিয়ে মানবজীবনে যত্ত অশান্তি,
কাল কি হবে পরিকল্পনার, ইনার হাত ধরেই জন্ম, আবার কি,

কিন্তু মানুষ কষ্ট পায়, এই দুয়ের জন্যই বেশি,
উন্নত মস্তিষ্কের ভার বহন করা কষ্টসাধ্য অনেক বেশি,
এই দুইয়ের অস্তিত্বে কতোকিছুরই না জন্ম, সমাজে প্রগতি,
তবু মানুষ নানান মোড়কে দোষারোপ করে, এই দুইয়ের তাতে দোষ কি,

এই দুইকে পরিচালনা করা রপ্ত করতে হয়,
যেমন অজানাকে পরিচালনা করতে হলে ব্যবহার বিধি পড়তে হয় ,
কিন্তু ইনাদের আবেগের সাথে গুলিয়ে বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়,
যন্ত্র সঠিক ভাবে কাজ করছে শুধু একটু সচেতন হতে হয়,

স্মৃতি ও আবেগের অনেক অভিযোগ, ঠিক যেমন অনেক রয়েছে তাদের নিয়ে,
মানুষ ভাবে না বেশি কিছু, নিজেদের অংশ শরীর ও মন নিয়ে,
যারা সচেতন থাকেন তাদের আরেকপ্রকারের সমস্যা,
নিজ প্রাপ্ত ফল ভাগ করার দরুন লোপাট কর্মক্ষমতা,

স্বেচ্ছায় করেন অনেকে, আবার অনেক ভাবেন জীবিকা,
এই দুইকে পরিচালনা করার সাথে ভারসাম্য ঠিক হারায় না,
অভিনয় করতে হয় কিছু ক্ষেত্রে, কল্পনা সঙ্গ দেয়,
পরিস্থিতির হিসেবে নিকেশ মুখবুজে স্মৃতি নিজের হাতে তুলে নেয়।

Leave a Reply