শৈলী

ভালো থাকার প্রয়োজন, ভালো রাখার প্রয়োজন, আদৌ রাখা হচ্ছে কি,
বন্যার সময় তৎকালীন বাঁধ তৈরীর প্রবণতা,
বন্যার আগে তৈরী করলে তাতে আবার লাভ কি,
রোগ ধরা পড়লে শরীরচর্চা প্রয়োজন, নইলে চর্চা করে লাভ কি,

খাদ্য শুধুই জ্বালানি মাত্র, শরীর চালিত করার সামগ্রিদের মধ্যে অন্যতম, ওদিকে গুরুত্ব বরাবরই একটু বেশি,
নিয়ন্ত্রণ হারানো গাড়ি, যতদিন না ডাক্তার বারণ করে, আর কি,
ফলের দাম বেশি, তাই ওষুধ খাওয়া ভালো, ফল মূল সবজি খেয়ে লাভ কি,
যে শরীর ছাড়া এক পা ও চলা যায় না, তাকে নিয়ে এতো চিন্তা ভাবনা করে লাভ কি,

উপার্জন বাড়াতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে,
জীবন বীমার মোটা অঙ্কের কিস্তির টাকা দিতে হবে,
যত মোটা কিস্তি হবে ততো শরীরকেন্দ্রিক নিরাপত্তা,
জীবনের উদ্দেশ্য যেন ভালো থাকা নয়, শরীরকে উপেক্ষা করে, শরীরের ভালো করে যত্ন করা,

আধুনিক কর্মপ্রধান সমাজে সীমা, রেখা, এই শব্দগুলি খালি মহিলাদের নামের জন্যই সংরক্ষিত,
কারণ কারো কাছে পর্যাপ্ত সময় নেই নিজেকে সময় দিয়ে নিজেকে উপলব্ধি করার মতো,
অন্যের সংজ্ঞাতে সংজ্ঞায়িত হওয়া আর গুরুত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই,
কখনো আর্থিক সামর্থ আবার কখনো সীমিত যশের প্রতিফলন সাথে কম বেশি বড়াই,

উপেক্ষাতে উপেক্ষিত সবার শেষে কথা বলে,
কিছুজন সেই কথাতে, বেশ গর্ব অনুভব করে,
সমাজের সমবেদনা, গর্ব আরো বাড়িয়ে তোলে,
উপেক্ষিত এভাবেই চিরকাল উপেক্ষিত হতে থাকে,

একদিন কর্মক্ষমতা হারায়, বিকল যন্ত্রাংশের হালখাতা লেখা হয়,
দেওয়াকেন্দ্রিক সমাজে দেওয়ার ক্ষমতা ফুরোলে সব শেষ, উপেক্ষিত বারবার সবাইকে বলে যেতে চায়,
কিন্তু মানুষের আজ এতো সময় কোথায়,
জীবনশৈলী একই, স্বাভাবিক উপেক্ষিতরা চক্রাকারে ঘুরে যায়। 

Leave a Reply