প্রিয়

হতাশাগ্রস্ত হওয়ার নেই কোনো সময় নেই কোনো বয়স,
সময়ের সাথে প্রিয়জন পেলে একটু নাহয় করলে আপোষ,
মানসিক স্থিরতা ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে, এগিয়ে গতিমান জীবনের মাঝে,
কেউ তোমাকে সহ্য করেছে, ওই সময়ের সাথে আপষের নাম করে,

জানান না দিয়ে সময় যাচ্ছে পেরিয়ে,
সময়ের সাথে তুমি চলেছো স্থিরতার দিকে এগিয়ে,
কর্মমুখর জীবনে গুরুত্বের অনুপাতগুলো একটু নড়লে,
ওমনি আপোষ, জীবনে ভারসাম্যহীনতার নতুন কারণদের দলে,

ত্যাগের মূল্যের দাবি, অস্তিত্বের সাথে কিছু ফিরে পাওয়ার দাবি,
অব্যক্ত চাওয়া পাওয়ার হাত ধরে শান্তি আর শৃঙ্খলা হানি,
লাইনের মাঝে লোকানোদের আবিষ্কার করো বেশি না ভেবে অভিমানী,
শব্দের মাঝে থাকা শব্দগুলোর মানে বোঝো, যাতে সুনিশ্চিত হয় নিরাপত্তাহীনতার অনুপস্থিতি।

এভাবে জীবন চলে নাকি, অবিশ্বাস আর নিজ নিরাপত্তা দেয় উঁকি,
প্রতি মুহূর্তে এতো সচেতন ভাবে আবেগ আদান প্রদান আদৌ সম্ভব কি?
পার্থক্য রয়েছে ঘোলা ও স্বচ্ছ জলে যেমন, তেমনই পার্থক্য বিশ্বাস ও বিশ্বাসের গভীরতার মাঝে,
ঠিক তেমনই, কিছু সোজা কথা অনেক পরিস্থিতির উপস্থিতিতে নিশ্চিত পূর্ণচ্ছেদ টেনে আনে,

আজ সামাজিক প্রাণীর পাশাপাশি মানুষ সুযোগসন্ধানী,
কখন কবে অমূল্য মূল্যহীনে রূপান্তরিত হয়, সবার মাঝে সময় থাকে সাক্ষী,
সহজাতকে পাল্টাতে হয়, কেউ নিজে নিজেকে আবার কাউকে সময় পরিস্থিতির মাধ্যমে পাল্টে দেয়,
কষ্ট কমে যখন স্বউপলব্ধির হাত ধরে পরিবর্তন আসে, সময়ের হাতে নয়।

পাল্টাতে হয় প্রত্যেককেই, সমৃদ্ধির প্রবেশের জন্য পথ প্রশস্ত করতে হয়,
কিন্তু ব্যথার আর অঙ্গহানির অনুভূতি ছাড়া যেমন পথ চলাচলে শৃঙ্খলা আসা কঠিন,
তেমনই অনেকের কাছে কষ্ট ছাড়া উপলব্ধি আর সচেতনতার উপস্থিতি বড়োই কঠিন,
সবার সাথেই জীবন চলে, উপভোগ্যতা আর দুর্ভোগ্যতা কোথাও লুকিয়ে আবার কোথাও প্রকাশ্যে বিরাজ করে ঠিক। 

Leave a Reply