মূল্যায়নের এক দৃষ্টিকোণ

কর্মের মূল্যায়নের সাথে মূল্যায়ন হয় ব্যক্তিত্বের,
আদৌ কি সম্ভব ব্যক্তিত্ব মূল্যায়নের, যেখানে সমস্ত ব্যক্তিত্ব মূল্যায়নের উর্দ্ধে,
পবিত্র ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত, সমস্ত জীবে ঈশ্বরের বাস,
তাহলে কি ঈশ্বরের মূল্যায়ন করা সম্ভব, দাঁড়িয়ে এই কলিযুগে আজ?

ব্যক্তিত্ব দ্বারা সম্পাদিত কর্মের সাথে ব্যক্তিত্বের কিছু সম্পর্ক,
ভাবনা, আচার, আচরণের, কর্মের ধারায় ঘটে প্রতিফলন,
সম্পাদিত কর্মের দায়ভার বর্তায় তার ওপর,
এই দায়িত্বটুকুই কি অনুমতি দেয় করতে ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ?

চিন্তা, ভাবনা এছাড়াও আরো অনেকে যেখানে অব্যক্ত,
সেখানে সামনে থাকা সমস্ত তথ্য আদৌ কি কখনো পর্যাপ্ত?
কটূশব্দ আর সোজা সাপ্টা বিশ্লেষনাত্মক ও মূল্যায়নকেন্দ্রিক কথা বলার আড়ালে,
অনেক চোখের জল, অনেক মৃত্যু গোপনে তাদের ডানা বিস্তার করে,

মন, মানসিকতা ও ব্যক্তিত্ব সব সমান নয় আমরা জানি,
মানুষভেদে আবেগ, ভালোলাগা আর নরমমাটি তর্জমা পাল্টায় মানি,
তবু উপলব্ধিত নয় কর্ম বিশ্লেষণ ও ব্যক্তিত্ব মূল্যায়নের ভুল ত্রুটি,
মৃত্যুর পূর্বে বা মৃত্যুর পরে, কোনো ব্যক্তিত্বেরই যে হয় না, মূল্যায়নের আওতার অন্তরভূক্তি। 

Leave a Reply