পার্শ্ব পথ

আবেগী বৈষম্যতা,
কি যেন একটা ছিল চাহিদা,
শুন্যতা নাকি বন্ধু সর্বদা,
যে মাঠে কেউ দেয় না ধরা,

চাহিদার মূল্য প্রয়োজনের কাছে বেশি,
অনুভব শুধু নিজের সমস্যার বেশি,
সময়ের অভাব অন্যের জন্য, ব্যস্ত দিবা নিশি,
সমস্যার কথা যাকে বলো, অবস্থা জেনেছো কখনো নাকি পুরোটাই ফাঁকি?

আজকালের সভ্যতা নাকি, প্রয়োজন জাহিরের আগে অবস্থা সম্পর্কে জানা,
সভ্যতা জাহিরে কোনো কালেই ছিল না কো খুব একটা বেশি মানা,
সভ্যতার মাঝে শুধুই মূল্যবোধের বিদায়,
অনুপস্থিতে আন্তরিকতা, সবকিছুই ভিত্তিহীন প্রায়,

অভিযোগ নয়, আসলে আন্তরিকতা গুরুত্ব পায় শুন্যতার বন্ধুত্বে,
কিছু মানুষ আজও পরিবার ও বন্ধুর  মাঝে একা ঘুমোয়, কেউ যদি বুঝতে,
আশা করা অন্যায়, সবাই ব্যস্ত দৈনন্দিনে,
আসলে, নিজেকে সর্বস্তরে ঠিক রাখার দায়িত্বে যে সম্পূর্ণ নিজে,

মস্তিষ্কের সাথে মনের দ্বন্ধ, বাস্তবের সাথে চলে আবেগের,
আবেগী চাহিদার গলা ধরা থাকে হাতে পরিস্থিতি ও বাস্তবের,
মধ্যবিত্তরাই যে খালি মন মারতে পারে, ইচ্ছে মারতে পারে তা নয়,
আবেগী মানুষগুলো রোজ রক্তের স্বাদ পায়, নির্বাক চলচিত্রের ন্যায় চলে যায়,

সমন্বয়তা ও সমলয় বিধানের প্রচেষ্টা দৈনন্দিনে চলছে,
ক্লান্ত পথিক সবাই, কেউ কেউ শুধু ধুঁকছে,
চোখে পড়ে না আবেগ, কারণ নিরাকার অস্তিত্ব,
নিয়ন্ত্রিত ক্লান্তি, নেই ক্লান্তি জাহিরের অবকাশ মাত্র,

নিজের সাথে নিজের দেখা দৈনন্দিনে যে ক্ষনে হয়,
অনেক প্রশ্ন করে, নিয়ম করে সাক্ষাৎকার হয়,
কিছু প্রশ্নের উত্তর কোনা চিনতে শেখায়,
চোখ এড়িয়ে বেঁচে আছে তারা, মোড়কের অশেষ কৃপায়,

মলাট দিয়ে ভুলে থাকা, আর বিকল্পিত পথে পরিচালনা,
বিকল্পিত পথ চয়নের প্রবণতাতে পার্শ্বপথ করে প্রশ্ন, করে তুলনা,
সোজা রাস্তায় ঘনত্ব কম যানবাহনের, কেন পার্শ্বের প্রতি এতো দৃষ্টি,
সমস্ত যানবাহন পার্শ্ব আর বিকল্পিত পথে পরিচালিত, সোজা পথের কেনই যে হয়েছিল সৃষ্টি,

বিকল্প খোঁজা, পার্শ্ব পথের নির্মাণ, কত ব্যস্ততা আবেগের গলিতে,
নিয়ন্ত্রণ হারালে সামাল কে দেবে, হদিস নেই এরূপ কোনো ব্যক্তিত্বের,
ঘাটতি কখনো বিকলাঙ্গ কখনো অনাথের অনুভূতি অনুভব করায়,
আবেগের ঠাঁই কোথাও নাই বাস্তবে, খালি দেশ আর বাণিজ্যেই বোধয় দেখা দেয়,

খুব বৈরাগ্য তার, সকলের মাঝে খুব একটা আসেন না,
চাহিদার ছাপ কখনোই কর্মকান্ডে পড়তে দেন না,
অনুভবে ষোল আনা, সঙ্গে সচেতনতা সম্পর্কিত সম্পূর্ণতা,
একান্তে প্রশ্নরা এলে, ধৈর্য্য ক্লান্তি নিয়ে মলাটকে সঙ্গে করে দেয়, বিকল্পিত বা কখনো পার্শ্বপথে হাঁটা।

Leave a Reply