আবেগ

শব্দটা ছিল বাংলা অভিধানেই,
গুরুত্ব ছিল কম।
নতুন সময় আর অভিজ্ঞতা মুখোমুখি এনেছে,
শব্দটির বাস্তব অস্তিত্ব।।

সমস্ত কিছুর পেছনেই যে থাকে আবেগ নিরবে,
ভেবে দেখিনি কোনদিন।
দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশেই হয়তো আবিস্কার হয়েছে,
শব্দটির অবদান অপরিসীম।।

কেউ ঘর বাঁধে, কেউ বা বাঁধে বাড়ি,
সম্পর্ক তৈরি করে, বা নেয় জীবনে ঝুঁকি।।
কর্মকেন্দ্রিক চিন্তা যেন তারই সৃষ্টি,
আবেগ না থাকলে হয়তো তৈরিই হতনা, অবাক করা কতো কি।।

তকমার আড়ালে লুকিয়ে থাকে দিনের পর দিন,
এ বলবে, ও বলবে, তাতে আদৌ কিছু যায় আসে কি?
অবাস্তবতা, ভারসাম্যহীনতা কত কি না তার নাম,
কাজের শেষে, কল্পনার দেশে আবেগই তো তার ডাকনাম।।

আবেগ কখনো তাড়িয়ে বেড়ায়,
ঘুম কেড়ে নেয় রাতের।
কখনো সে আবার স্বপ্ন দেখায় দিনে কাজের ফাঁকে,
সৃষ্টিশীলতার জন্ম সে দেয় , বিশ্বের আঁকে বাঁকে।।

আত্মকেন্দ্রিক, জীবনকেন্দ্রিক কত রকম না তার দৃষ্টি,
জীবন সাজানোর সমস্ত প্রয়াস তো তারই হাতের সৃষ্টি।।
সেবাতে যে নেই বিরাম তার, উদার যেন তার চিত্ত,
পরিস্থিতির হাতে ধরা না দিলে, হয়তো বিশ্বের চেহারাটাই অন্যরকম হত।।

আবেগী মনের আভিজাত্য অনুভব করে কয়জন,
অনুভুতিই হয়েতো জন্ম দেয়, দৈনন্দিনে আবেগের প্রয়োজন।।
উদ্বুদ্ধ করে নতুন সূর্যকে নতুন করে দেখতে,
কৃতিত্ব আসে ফলস্বরূপ, কর্মকে কর্তব্যের তকমা না দিলে।।

Leave a Reply