লড়াই

তারা করে কাজ তাদের মতো,
নিজেদের ছবিকে করেছে প্রতিষ্ঠিত,
তৈরী করেছে নিজেদের সংজ্ঞা, কাজ করেছে নিজেদের মতো,
ছিনিয়ে নিতে হয়, বাস্তব পৃথিবী বড়ই অমানবিক, নেই মমতা আর স্নেহ,
মায়া, দয়া, ছেড়ে দেওয়া, সুযোগ দেওয়া, এসবের কথা বলো,
বলি বাস্তব পৃথিবীতে স্বার্থ ছাড়া তুমি কি অন্যের জন্য কিছু করো?

বড়োদের, গুণীদের দোষারোপ দীর্ঘদিনধরে করে আসা হয়,
কখনো তাদের আসনে কি নিজেদের বসানো হয়?
অন্যের আসনকে দেখে প্রশ্ন করো আর নিজের দিকে প্রশ্ন এলে,
মন্তব্যে বলো, তার জুতো পরে চার পা চলে দেখো, প্রশ্ন করার আগে,
সবার বেলায় সমীকরণ সমান নয়, এ কিরকম নিয়ম,
সবলদের জন্য একরকম আর সংঘর্ষকারীদের আরেকরকম কেন?

প্রতিযোগিতা সর্বত্র, টিকে থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই,
উপরে উঠতে গেলে ঠেলে ফেলবে এরকম মানিসিকতা নিয়েই তো চলছে সবাই,
বলা যাবে না, নিজের মতো কাজ করা যাবে না, রোজগার করা যাবে না অর্থ,
মেনে নেওয়া সহজ নয় তবু ওদের অর্জিত নিজে না পেলেই ব্যর্থ?
লড়াই নিজের সবাই নিজের মতো লড়ে, তৈরী করে নিজের নীতি,
ভারসাম্য বজায় রেখে লড়ে যাওয়া, বিরুদ্ধ স্রোতের মুখোমুখি হওয়ার কাটুক সবার ভীতি,

মানসিক অবস্থা তোমার টলমলে হলে সুযোগ অন্যেরা নেবে,
তোমার কাজের ওপর প্রশ্ন করলে তুমি কি ছেড়ে কথা বলতে?
কথা বলছেন অনেকেই কিন্তু নিজের স্থানের ব্যবহার ও অপব্যবহার রয়েছে সর্বত্র,
প্রশ্নের সাথে হে মানবসমাজ নিজের চরিত্রের বদল করো,
নিজের ক্ষমতা, অর্জন করে এখানে সকলেই, ছাড়ে না জায়গা, চারিদিকে খালি বানি,
কর্মপ্রধান দেশে, কর্মকে গুরুত্ব দিয়েছো কতখানি? 

Leave a Reply