অস্তিত্ব ও নিরপেক্ষতা

নিয়ন্ত্রিত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার ভয় নিয়ন্ত্রকের,
তথ্য আপন করার অভিলাষার জন্ম, নিয়ন্ত্রিত করার লোভে,
বশে রাখার কৌশলের অনুসন্ধান নিয়ন্ত্রকের,
এরই মাঝে কিছু প্রাণী বশীভূত হওয়ার আনন্দে বাঁচে,

কেউ অনুগামী হয়ে জন্মায় আবার কেউ প্রভাব বিস্তার করতে,
বড়োদের মুখে এসব কথা শুনেছি সেই এক কোন কালে,
অভিলাষা অভিসন্ধির রচনা সমান্তরালে করে,
নির্বাক চলচিত্রের অভিনেতার মুখোশে অনেকে মুখ আড়াল করে,

সমালোচিত ও প্রশংসিতরা অপ্রিয় অনেকের কাছে,
ব্যক্তিকেন্দ্রিক আলোচনা দৃষ্টিশক্তিকে ক্ষীণ করে,
অজান্তেই সংকীর্ণ হয়ে আসে মানসিক শিরা উপশিরা,
প্রতিফলন ঘটে সর্বত্র, ওরা মানে না কর্মজগতের সীমা,

প্রদর্শিত নীতি, স্কেলিটনে না লাগিয়ে চারদিকে ঘোরে ফেরে,
তাই বোধয় আজ মুখোশ দামি, দাম বেশির ফিতে রূপচর্চা ও প্রসাধনী দ্রব্যে,
চামড়া নিয়ে সচেতনতা, চরিত্রের মলাটের দিকে তীব্র নজর,
উপেক্ষিত অন্তরসত্তা ও মানসিক ক্লান্তি তুলে ধরে মাঝে মধ্যে সেই ঢেকে রাখা স্কেলিটন,

ভয়ের দ্বারা গ্রাসিত, মেলা মেশাতে নিজ সত্তার নেই অনুমতি,
স্বাভাবিকের অভিনয়, অন্যের সংজ্ঞার দাস বানিয়েছে ওমনি,
গোপনীয়তা একটি কলা, অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি,
অন্যের চোখে ধরা না দেওয়ার চলছে কত কারসাজি,

দামি মলাট যত্ন বাড়ায় কিন্তু পাতার থেকে সরিয়ে দেয় নজর,
অভীষ্ট সৃষ্টির দরজা বন্ধ করে, কচুরিপানা ভরায় নগর,
কদর, ব্যক্তিত্ব, ছবি মলাটকেন্দ্রিক নানান বৈশিষ্ট,
গল্পে ভালো নয়, মন্দ নয়, নিরেপক্ষতার দৌড়ে বেশ কিছু চরিত্র,

নিরপেক্ষ থাকা ও সেই সত্তার মানানসই আচরণের স্বাঙ্গীকরণ,
পাল্টায় ব্যাক্তিত্বকেন্দ্রিক পরিবেশ ও পারিপার্শিকগত সমীকরণ,
ক্ষনিকের আবেগের সঞ্চারের আসের হাত ধরে কুটিলতার আত্তীকরণ,
অভিনীত নিরপেক্ষ চরিত্রগুলোর দ্বারা দৈনন্দিন কিছু উপলব্ধিকরণ,

না মেনে নেওয়া, অন্তরসত্তার অগ্রাহ্যতার সাথে অস্তিত্বের লড়াইয়ের বিবাদ,
নিজের সাথে নিজের লড়াই, অপ্রকাশিত কিছু বার্তালাপ,
চরিত্রের সংলাপ গুলো ক্রোধ ও অহংকারের দেয় জন্ম,
কুটিল, নিরপেক্ষরা নিজেদের পারিপার্শ্বিকের রচনা করে যেখানে তারা আত্মঘাতী ও মৌন,

চিন্তা ভাবনার দিক নিয়ন্ত্রণ হবে যেদিন অনুভূত হবে নিয়ন্ত্রকের রিক্ততা,
অথবা প্রকাশিত হবে যেদিন নিয়ন্ত্রকের নির্বুদ্ধিতা,
পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা আসে হাত ধরে উপলব্ধতার,
অস্তিত্বের লড়াইতে আত্মঘাতী ও দূষিত আজ বেশিরভাগ পবিত্র অন্তরআত্মা।

Leave a Reply